This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.This theme is Bloggerized by Lasantha Bandara - Premiumbloggertemplates.com.

Sunday, June 29, 2014

আউটসোর্সিং এর মার্কেটপ্লেস কি?


আউটসোর্সিং এর মার্কেটপ্লেস হলো এমন একটি ভার্চুয়াল মার্কেট বা বাজার যেখানে বিভিন্ন প্রকার কাজকরা বা করানোর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এটি মূলত একটি ওয়েবসাইট। ইন্টারনেটে সার্চ্ দিলে অনেক আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস পা্ওয়া যাবে। এসমস্ত মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার বায়াররা তাদের সুবিধা অনুযায়ী বিশ্বস্ত দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের খুজে পা্ওয়ার সুবিধা পায় এবং ফ্রিল্যান্সাররাও অনুরুপ বিশ্বস্ত বায়ার খুজে পায়।উক্ত মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করার জন্য কিছু পর্যাক্রমিক নিয়ম মানতে হয়, যেমন- কাজের জন্য এপ্লাই করা, বায়ার চেক করা, বায়ারের সাথে কন্টক্ট করা, কাজ শুরু করা, সময়ের মধ্যে কাজ হ্যান্ড্ওভার দেয়া সর্বশেষে পেমেন্ট বুঝেনিতে হয়। আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্টের বিভিন্নপ্রকার শর্ত্সাপেক্ষে নিশ্চয়তা প্রদান করে। এছাড়া্ও বিভিন্ন প্রকার সার্ভিসের মাধ্যমে আউটসোর্সিং এর কজে সহায়তা করে থাকে। তবে তাদের এসকল কার্য্ক্রমের জন্য দিতে হয় নির্দিষ্ট পরিমান সার্ভিস চার্জ্। পৃথিবী ব্যাপি অনেক আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে কয়েকটির নাম হলোঃ-

01. ওডেস্ক ডট কম
02. ইল্যান্স ডট কম

03. ফ্রিল্যান্স ডট কম
04. গুরু ডট কম
05. গেটএকোডার ডট কম
06. মাইক্রো্ওয়ার্ক্ার ডট কম
07. মিনিটওয়ার্ক্ার ডট কম
08. ফাইভার ডট কম
09. লিংকডইন ডট কম
10. ডেসিওয়ার্কার ডট কম
11. 99ডিজাইন ডট কম
12. ডোনানজা ডট কম
13. মিডিয়াবিস্ত্র ডট কম
14. টাস্কআরমি ডট কম
15. বিজরেফ ডট কম
16. 99ফ্রিল্যান্সার ডট কম
17. রেভ ডট কম
18. টাস্করেবিট ডট কম

এর মধ্যে ওডেস্ক এর ব্যাবহারকারীর সংখ্যা পৃথিবীজুড়ে এবং ইহাতে আর্থিক নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন প্রকার উন্নতমানের সার্ভিস থাকার করনে বাংলাদেশের প্রয় 90 ভাগ ফ্রিল্যান্সারগন এই মার্কেটপ্লেসটি ব্যাবহার করে থাকেন।

আউটসোর্সিং এর কাজ কিভাবে হয়ে থাকে?

আউটসোর্সিং এর কাজটি সম্পন্ন হয় কাজ খোজা এবং কর্মী খোজার মধ্যে। আর এই খোজাখুজির কাজটি হয় অনলাইনে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে। পৃথিবীতে অসংখ্যাযেমন কর্মী রয়েছে তেমনী প্রচুরপরিমান বায়ার রয়েছে।প্রতিটি কর্মী এবং বায়ার রয়েছে তাদের নিজেস্ব স্থানে। সকলেরই রয়েছে যোগাযোগে ঠিকানা। বায়ার এবং কর্মী বা ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ হতে পারে। কারন এখানে যে কোন কাজের জন্য যোগাযোগ করা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন্ একটি বিষয়। এজন্য, এই যোগাযোগকে সহজ এবং নির্ভরযোগ্য করার জন্য তৈরী হয়েছে অনেক আউসোর্সিং স্পেসাল মার্কেট প্লেস।সাধারনত এই মার্কেটপ্লেসগুলো ওয়াল্ড ওয়াইড বা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত সুবিধা সম্পন্ন হয়ে থাকে। আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে একজন বায়ার তার প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মী নিয়োগ করতে পারেন এবং ফ্রিল্যান্সারগন বিভিন্ন বায়ারদের কাজ পেতে পারেন। মার্কেটপ্লেস গুলোতে যে চাকরী করে তাদেরকে কন্ট্রাকটর বলে এবং যারা কাজ করিয়ে পেমেন্ট করে তাদেরকে বায়ার বা ক্লায়েন্ট বলে। এছাড়া আপনি অন্যকোন ভাবে সরাসরি বায়ারের সাথে যোগাযোগ করতে পারল্ওে আউটসোর্সিং এর কাজ করতে পারবেন। সুতরাং বুঝা যায়যে আউটসোর্সিং এর কাজ করতে হলে আপনাকে যে কোন ভাবেই হোকনা কেন বায়ারের সাথে যোগাযোগ করে, তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজকরে দিতে হবে। তবে আউটসোর্সিং এর কাজ করার জন্য নির্ভরযোগ্য মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমেই করা উচিত। কারন এখানথেকে কাজ বেশী পা্ওয়া যায়। পেমেন্টের নিশ্চয়তা পা্ওয়াযায় ইত্যাদি সুবিধা পা্ওয়া যায়।

আউটসোর্সিং কাজের পারিশ্রমিক না পা্ওয়ার সম্ভাবন্ কতটুকু থাকে ?

সকলের জেনে রাখা উচিত আউটসোর্সিং কাজের দুটি অংশ রয়েছে। একটি হলো কাজের দক্ষতা, অন্যটি হলো প্রসেসিং এর দক্ষতা। আউটসোর্সিং এর কাজ করতে হলে এই দুটির উপরই ভাল দক্ষতা প্রয়োজন। আপনি যদি শুধু কাজ পারেন কিন্তু আউটসোর্সিং এর পদ্ধতি না জানেন তবে ভাল আউটসোর্সিং করতে পারবেননা। আউটসোসিং পদ্ধতি সম্পর্কে স্পস্ট ধারনা থাকলে আউটসোর্সিং কাজের পারিশ্রমিক না পা্ওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বল্লেই চলে। অর্থাৎ আপনি যেকাজ করবেন তার পারিশ্রমিক অবশ্যই পেয়ে যাবেন।

আউটসোর্সিং কাজের প্রথমদিকে কেমন আয় হতে পারে?

আপনি যদি আউটসোর্সিং কাজ শুরু করেন, অর্থাৎ আপনি যখন নতুন কর্মী হিসাবে কাজ করবেন তখন আপনার কাজের দক্ষতা কম থাকবে, এটাই স্বভাবিক। যেহেতু অপনার কাজের দক্ষতা কম এবং নতুন এজন্য প্রথমদিকে আপনাকে অবশ্যই কম রেটে কাজ নিতে হবে। আস্তে আস্তে যখন আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, চাহিদা বৃদ্ধিপাবে, আপনিও আপনার কাজের রেট বাড়াতে থাকবেন। প্রথমেই কাজের রেট বেশী উল্লেখ করলে কাজ পা্ওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। যার কারনে এ কাজের প্রতি হতাশার বাসা বাধার সম্ভাবনা বেশী থাকে।

আউটসোর্সিং কাজের জন্য টাইম কিভাবে নির্ধারন করা হয়?

আউটসোর্সিং কাজের জন্য বায়ারগন তাদের কাজ সম্পাদনের জন্য সময়কে কয়েকটি পদ্ধতিতে নির্ধারন করে দেয়। যার মধ্যে রয়েছে- পার্ট্ টাইম জব, ফুট টাইম জব, প্রজোক্ট হ্যান্ড ওভার জব। পার্ট্ টাইম জবে কাজ করতে হলে প্রতিদিন অন্তত 2/3 ঘন্টা কাজ করতে হয়। ফুল টাইম জবের জন্য প্রতিদিন 5 ঘন্টার বেশি কাজ করতে হয়। প্রজেক্ট হ্যান্ড ওভার জবে যেকতটুকু সময় নেওয়া হয়েছে, সেই সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পাদন করে দিতে হয়। এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো- ঘন্টাভিত্তিক কাজে বায়ারগন সাপ্তহিক সময়কে ঠিক করে দেয়।অর্থাৎ পারটাইম জবের জন্য সপ্তহে 15 ঘন্টা সময় দিতে পারে আবার ফুল টাইম জবের জন্য 40 ঘন্টা কাজ করার সময় নির্ধারন করে দিতে পারে। তবে এখানে দিনে রাতে কখন কাজটি করবেন সেটি আপনার উপর নির্ভ্র করবে, নির্দিষ্ট কোন অফিসিয়াল টাইমের বাধ্যবাধকতা নেই।

বিদেশী কোম্পানী গুলো কেন বিভিন্ন ফ্রিলান্সারদেরকে দিয়ে কাজ করায় এবং ফ্রিল্যান্সরগন কেন কাজ করে থাকে ?

সহজ উত্তর হলো দুই পক্ষই লাভবান হওয়ার কারনেই আউটসোর্সিং এর কাজ হয়ে থাকে। কারন বেদেশী বয়ার তাদের দেশের দশহাজার টাকার কাজ, ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে এক হাজারের কম বেশী অর্থের বিনিময়ে কাজ করিয়ে নিতে পারছেন এবং কোন এমপ্লয়িকে স্থায়ী ভাবে রেখে বেতন দিতে হচ্ছেনা। আর ফ্রিল্যান্সার গন তাদের উপযুক্ত অর্থ্ মূল্য নির্ধারন করে কাজ করে লাভবান হচ্ছেন। যার মাধ্যমে দুজনই লাভবান হচ্ছেন।

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কি কি কাজ করা যায়?


আউটসোর্সিং এর কাজের ধরনের কোন সিমাবদ্ভতা নেই। এখানে বায়ারগন তাদের ইচ্ছামত বিভিন্ন প্রকার কাজের প্রস্তাব দিয়ে থাকেন। যে কাজটি আমাদের পছন্দ হবে সেটি আমরা চিহ্নিত করে ইচ্ছা প্রকাশ করলে, বায়ার মনে করলে কাজটি করতে দিতে পারেন। আমরা বায়ারের প্রয়োজনীয় নির্দেশ অনুযায়ী কাজ গুলো করে দিব। তবে সাধারন ভাবে যে সকল কাজ আউটসোর্সিং এর জন্য হয়ে থাকে তার একটি তালিকা নিম্নে দেওয়া হলোঃ-

01)ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
01.ক) ওয়েব ডিজাইন
01.খ) ওয়েব প্রোগ্রামিং
01.গ) ইকমার্স
01.ঘ) ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন
01.ঙ) ওয়েবসাইট কিউএ
01.চ) ওয়েবসাইট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
01.ছ) ইত্যাদি।

02)সফট্ওয়ার ডেভেলপমেন্ট
02.ক) ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন
02.খ) গেম ডেভেলপমেন্ট
02.গ) স্ক্রিপ্ট ও ইউটিলিটি
02.ঘ) সফট্ওয়্যার প্লাগ-ইন্স
02.ঙ) মোবাইল অ্যাপস
02.চ) অ্যাপ্লিকেশন ইন্টারফেস ডিজাইন
02.ছ) সফট্ওয়্যার প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
02.জ) সফট্ওয়্যার কউএ
02.ঝ) ভিওআইপি
02.ঞ) ইত্যাদি।

03) নেট্ওয়ার্কিং এবং ইনফরমেশন সিস্টেম
03.ক) নেট্ওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
03.খ) ডিবিএ – ডাটাবেজ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
03.গ) সার্ভার অ্যাডমিনিস্ট্রেশন
03.ঘ) ইআরপি/সআরএম ইমপ্লিমেন্টেশন
03.ঙ) ইত্যাদি।

04) রাইটিং ও ট্রান্সলেশন
04.ক) টেকনিক্যাল রাইটিং
04.খ) ওয়েবসাইট কনটেন্ট
04.গ) ব্লগ ও আর্টিকেল রাইটিং
04.ঙ) কপিরাইটিং
04.চ) ট্রান্সলেশন
04.ছ) ক্রিয়েটিভ রাইটিং
04.জ) ইত্যাদি।
05) অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট
05.ক) ডেটা এন্ট্রি
05.খ) পার্সোনাল অ্যাসিসমেন্ট
05.গ) ওয়েব রিসার্চ
05.ঘ) ইমেইল রেসপন্স হ্যান্ডেলিং
05.ঙ) ট্রান্সক্রিপশন
05.চ) ইত্যাদি।

06) ডিজাইন এবং মাল্টিমিডিয়া
06.ক) গ্রাফিক্স ডিজাইন
06.খ) লোগো ডিজাইন
06.গ) ইলাস্ট্রেশন
06.ঘ) প্রিন্ট ডিজাইন
06.ঙ) থ্রিডি মডেলিং ও ক্যাড
06.চ) অডিও প্রোডাকশন
06.ছ) ভয়েস ট্যালেন্ট
06.জ) অ্যানিমেশন
06.ঝ) প্রেজেন্টেশন
06.ঞ) ইজ্ঞিনিয়ারিং ও টেকনিক্যাল ডিজাইন
06.ট) ইত্যাদি

07) সেলস এবং মার্কেটিং
07.ক) অ্যাডভার্টাইজিং
07.খ) ইমেইল মার্কেটিং
07.গ) সার্চ্ ইন্জিন অপটিমাইজেশন – এস.ই.ও
07.ঘ) সার্চ্ ইন্জিন মার্কেটিং – এস.ই.এম
07.ঙ) সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং – এস.এম.এম
07.চ) পাবলিক রিলেশন্স – পিআর.
07.ছ) টেলিমার্কেটিং এবং টেলিসেলস
07.জ) বিজনেস প্যান ও মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি
07.ঝ) মার্কেটিং রিসার্চ্ এবং সার্ভে
07.ঞ) সেলস ও লিড জেনারেশন
07.ট) ইত্যাদি।
08) কাস্টমার সার্ভিস
08.ক) কাস্টোমার সার্ভিস ও সাপোর্ট্
08.খ) টেকনিক্যাল সাপোর্ট্
08.গ) ফোন সাপোর্ট্
08.ঘ) অর্ডার প্রসেসিং
08.ঙ) ইত্যাদি।

09) বিজনেস সার্ভিস
09.ক) অ্যাকাউন্টিং
09.খ) বুককিপিং
09.গ) এইচআর/পেরোল
09.ঘ) ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ও প্লানিং
09.ঙ) পেমেন্ট প্রোসেসিং লিগ্যাল
09.চ) প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
09.ছ) বিজনেস কনসালটিং রিক্রুটিং
09.জ) স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যানালাইসিস
09.ঝ) ইত্যাদি।

পৃথিবীজুড়ে এত ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে পর্যাপ্ত কাজ পা্ওয়া যায় কিনা ?

আউটসোর্সিং জগতে ফ্রিল্যান্সারের তুলনায় কাজের পরিমান অনেক বেশী। প্রতিদিন মার্কেটপ্লেস সাইট এবং এর বাহিরে প্রচুর পরিমান জব অফার থাকে। কিছু কিছু জব সাইটে প্রতিদিন প্রায় 20000 (বিশ হাজার) এর বেশী চাকুরীর বিজ্ঞাপন পা্ওয়া যায়। তবে মনে রাখা উচিত ভাল মানের চাকুরী এবং সাফল্যতা লাভের জন্য আন্তর্জাতিক ফ্রিলান্সাদের মধ্যে নিজের স্থান (নিজের চেষ্টা, ইচ্ছা, যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে ) নিজেকেই তৈরী করে নিতে হবে।

আউটসোর্সিং করলে অতিরিক্ত কি কি সুবিধা পা্ওয়া যায় ?


আউটসোর্সিং এর কাজ করতে থাকলে অপনি আয় করার পাশাপাশি অতিরিক্ত কিছু বিষয়ের সুবিধা পা্ওয়া যায় –
01. ইংরেজী ভাষাতে দক্ষতা বৃদ্ধি হয়।
02. বিভিন্ন দেশি বিদেশী কোম্পানীর কর্মকর্তাদের সাথে পরিচয় এবং ঘনিষ্ঠতার সম্পর্ক গড়ে উঠে।
03. আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অনেক অজানা বিষয় বস্তু বিষয়ে জনা যায়, যা ভবিষ্যতে চকুরীপেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
04. আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আয়ের মাধ্যমে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমান রেমিটেন্স আসছে যার মাধ্যমে আমাদের দেশ উন্নয়নের সুবিধা পেয়ে থাকবে।

আউটসোর্সিং কাজ করতে কেমন যোগ্যতার প্রয়োজন হবে ?

যেহেতু আউটসোর্সিং এর কাজ কম্পিউটারের মাধ্যমে করা হয়, তাই কম্পিউটার মোটামুটি চালাতে জানলেই আপনি আউটসোর্সিং এর কাজ করতে পারবেন। এছাড়াও আউটসোর্সিং করতে হলে বায়ারদের সাথে মাঝে মাঝে যোগাযোগ করতে হয় টেক্সচ্যাট / মেইল ইত্যাদির মাধ্যমে। যেহেতু বয়াররা বিদেশী হয়ে থাকেন এজন্য তাদের সাথে ইংরেজী ভাষার মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হয়। তবে সাধারনত বায়াররা ফিল্যান্সারদের সকলের সুবিধার্ধে সহজ ভাবে ইংরেজী ভাষা ব্যাবহার করে থাকেন। তাই আপনার ইংরেজী ভাষা সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান থাকলেই আপনি আউটসোর্সিং এর কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যত বেশী দক্ষ হবেন আপনি সুবিধাও ততবেশী পাবেন।

আউটসোর্সিং এর কাজ বিদেশীরা আমাদের দ্বারা কাজ করানোর কারন কি ?

এক কথায় বলতে গেলে বিদেশী বায়ারগন তাদের নিজেদের সুবিধা এবং লাভের জন্যই বিভিন্নদেশের ফ্রিলান্সারদের মাধ্যমে কাজ করিয়ে থাকেন। কারন উন্নত দেশেরর কোন ব্যাক্তির মাধ্যমে আইটির কাজ করাতে প্রতিঘন্টায় প্রায় 20/30 ডলার পে করতে হয়। উক্ত কাজটি বায়ারগন বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে ঘন্টায় 2/3 ডালার পে করেই কাজটি করতে পারছেন। এথেকে বুঝাই যায় তারা তাদের টাকা সাশ্রয়ের উদ্দেশ্যেই আউটসোর্সিং যারা করে থাকেন তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে থাকেন। এখানে অনেকে ভূল বুধতে পারেন এত কম রেটে আমরা কাজ করব কেন? এর সহজ উত্তর হলো তাদের কাছে যেটি কম, আমাদের কাছে সেটি বেশী কারন, আপনি প্রতি প্রতিদিন ঘন্টায় 2 ডলার করে আয় করলে মাসে প্রায় 40000 (চল্লিশ হাজার) টাকা আয় করতে পারেন। যা আপনার কাছে যথেষ্ঠ আয় মনে হতে পারে। তবে এটি আয়ের সিমা নয়, কারন আপনি চাইলেই ধিরে ধিরে আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন। আপনার কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে সাথে আপনি আপনার বেতন বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন এবং বিভিন্ন বায়ারের কাজের অফারও বৃদ্ধি পাবে।

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে উপার্যন করা টাকা কিভাবে উত্তলোন করতে যাবে ?

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আয় করা টাকা বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংক থেকে উত্তলন করা যাবে। যে ব্যাংকে আপনার একটি একাউন্ট রয়েছে। এছাড়া্ও মাস্টার কার্ড সহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে এইটাকা উত্তলন করা যায়।সাধারনত বায়ার গন চুক্তি অনুযায়ী সোমবারে টাকা ট্রান্সফার করে থাকেন।

আউটসোর্সিং করতে হলে কি কি ধারাবাহিক কাজ করতে হবে ?

প্রতিটি কাজেরই কিছু নিয়ম কনুন এবং পদ্ধতি রয়েছে। আউটসোর্সিং এর কাজ করতে নিম্নক্ত ধারাবাহিক ভাবে কাজ করলে আসাকরা যায় সাফল্য দ্রুত আসবে-
01. নিজের কাজের দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরী করতে হবে।
02. এর পর মার্কেট প্লেস গুলোতে দক্ষতার সাথে পরিপূর্ন প্রোফাইল তৈরী করতে হবে। এখানে আপনি যে কাজ ভাল পারেন তার পরিপূর্ন ভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
03. এরপর বায়ারদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ জমা দিতে হবে। কোন কাজ করতে বুঝার অসুবিধা হলে বায়ারগন তাদের সুবিধার জন্যই আপনার সাথে বায়ার অনলাইনে যোগাযোগ করে কাজ বুঝিয়ে দিবে, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে সহায়তা প্রদান করবে।

আউটসোর্সিং সাধারনত কোন ব্যাক্তি করতে পারেননা ?

যে সকল লোকদের আউটসোর্সিং করা উচিৎ নয়, তাদের একটি তালিকা নিম্নে দেওয়া হইলঃ-

01. যে অল্পতে হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়ে, অর্থাৎ নিজের উপর অত্যবিশ্বাস নেই।
02. যে তার দক্ষতা যতটুকু তা থেকে বেশি আয় করতে চায়।
03. যে অল্পসময়ে অধিক থেকেও অত্যাধিকলাভবান হতে চায়।
04. যে অন্তত দুইমাস নিজেকে প্রস্তুত এবং আয়ের জন্য অপেক্ষা করতে চায়না।
05. যে টাকা উপার্যনের জন্য পরিশ্রমকে সর্বাধিক গুরুত্ব না দেয়।

আউটসোর্সিং করতে আপনার কি কি প্রয়োজন হবে ?

আপনি যদি সত্যিকার ভাবে আউটসোর্সিং এর কাজ করতে চান তা হলে সবার প্রথমে যেটি প্রয়োজন হবে সেটি হলো আপনার একান্ত ইচ্ছা। অর্থাৎ কোন সন্দেহ না রেখে কাজে মনোযোগ দেওয়া। এর পর যেগুলো প্রয়োজন হবে –
01. একটি কম্পিউটার।(যাতে বিদ্যুতে সমস্যার জন্য ব্যবস্থা থাকবে এজন্য অনেকে ল্যাপটপ পছন্দ করে)
02. একটি ইন্টারনেট কানেকশন।
উল্লেখ করা ভাল যে, আউটসোর্সিং কোন ব্যাবসাক্ষেত্র নয় এজন্য আউটসোর্সিং করতে কোন প্রতিষ্ঠানকে টাকা দিতে হয়না বা কোন ইনভেস্ট করতে হয়না। এবং আউটসোর্সিং কোন এমএলএম বা মাল্টিলেভেল মার্কেটিং নয় এজন্য আপনি অন্য কাউকে আউটসোর্সিং বিষয়ে জানালে অথবা কর্মক্ষেত্রে তৈরী করে দিলে আপনি আর্থিকভাবে কোন লাভবান হবেননা। ক্লিক করলেই টাকা আয় যায় এমনটিকে আউটসোর্সি বলা যাবেনা।

এই ব্লগের উদ্দেশ্য।

উক্ত ব্লগের আউটসোর্সিং শিক্ষা সম্পর্কে ধারাবাহিক ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনি যদি আউটসোর্সিং কাজ করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তবে এই ব্লগের প্রতিটি টপিক ধারাবাহিক ভাবে রপ্ত করলে সহজ ভাবে আউটসোর্সিং করতে পারবেন যার মাধ্যমে প্রতি মাসে অন্তত 20000 (বিশ হাজার) টাকা আয় করতে পারবেন।

আউটসোর্সিং কাজ করে ভবিষ্যতের সম্ভাবনা কতটুকৃ ?

চলমান বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ এবং এর ব্যপকতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। আর এর বিস্তার আরো দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েই চলবে এতে কোন সন্দেহ নেই। আউটসোর্সিং এর কাজ হলো তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কাজ করা এবং এই তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা সমূহকে ব্যাবহার করে বিভিন্ন ক্ষেত্র সমূহের উন্নয়ন সাধন করা। এজন্য বলা যেতে পারে আউটসোর্সিং কাজের ভবিষ্যত উজ্জল, এব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কেমন আয় করা সম্ভব ?

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কেমন আয় করা সম্ভব এটি নির্ভর করবে আপনার কাজের ক্ষেত্র, কাজের পরিমান ইত্যাদির উপর। অর্থাৎ আপনি কত কাজ করতে পারবেন এবং কোন কোন ধারনের কাজ করে দিতে সক্ষম হবেন এর উপির নির্ভরশীল। কিছু কিছু ফ্রিল্যান্সারগন অল্প পারিশ্রিমিকে অধিক কাজ করে থাকেন এবং কোন কোন ফ্রিল্যান্সারগন জটিল কিন্তু অল্প কাজ বেশি পারিশ্রমিক নিয়ে কাজ করে থাকেন, যা নির্ভর করে তাদের অভিজ্ঞত এবং ইচ্ছার উপর। তবে কোন ব্যাক্তি যদি নিয়মিত সঠিক ভাবে কাজ করে যান তবে মাসে 20000-30000 আয় করা সম্ভব।এছাড়াও বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অসংখ্যা ফিল্যান্সারগন মাসে 50000 টাকা প্রতি মাসে উপার্জন করে চলেছে। এক্ষেত্রে নিজেকে আউটসোর্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে বা ভাল ভাবে কাজ করার জন্য নিজেকে ভাল যোগ্য ফ্রিলান্সার হিসাবে তৈরী করে নিতে হবে।

আউটসোর্সিং বা ফিল্যান্সিং কাজ করার কারন কি ?

আউটসোসিং এর কাজ করার উদ্দেশ্য বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আউটসোসিং এর কাজ করা ব্যক্তিকেই দেখা যায় নিম্নক্ত কারনে তারা আউট সোর্সিং কাজের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন-
1. লেখা পড়ার পাশাপাশি বা চাকুরীর পাশাপাশি বাড়তি আয়ের প্রয়োজনে-
2. চাকুরীর থেকে বেশি আয়ের আশায় -
3. স্বধীন ভাবে, নিজের কাজ নিজেই যে কোন স্থানে করার সুবিধায় -
4. কোন প্রকার কোন প্রকার ইনভেস্টছাড়াই করা যায়-
5. এখানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের উপস্থিত থাকার জন্য কোন গুরুত্বআরোপ থাকেনা।দিনে রাতে যেকোন সময়ে কাজ করার সুবিধা পাওয়া কারনে।

আউটসোর্সিং কি ?

আউটসোর্সিং হলো এমন একটি কাজের নাম যেটি ইন্টারনেট বা অনলাইনের মাধ্যমে করতে হয়। আর এই কাজটি করা হয় ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ সমূহকে সংগ্রহ করে, নির্দেশনা অনুযায়ী কাজটি সম্পন্ন করে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজটি জমা দিয়ে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে পারিশ্রমিক বুঝে নেয়ার ব্যাবস্থা করা।আরো সহজ ভাবে বলতে হলে বলা যায়, বিদেশে আমাদেরকে বিদেশিরা নিয়ে যায় তাদের কাজ করার জন্য। এই কাজ দু রকম হয় একটি শারীরিক কাজ অন্যটি অফিসিয়াল কাজ। শারীরিক কাজ সমূহ করানোর জন্য আমাদেরকে এখনো তারা তাদের দেশেনিয়ে কাজ করিয়ে নেয়। তবে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের অফিসিয়াল কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফ্রিলান্সারদের দিয়ে করিয়ে নেয়। যার মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই বিদেশী কোম্পানীতে জব করতে পারছি। আর এই সমস্ত কাজকেই আমরা আউটসোর্সিং বলে থাকি। সুতরাং আউটসোর্সিং হলো পৃথিবীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আইটি বিষয়ের কিছু কাজ করে দেওয়া। এর বড় সুবিধার মধ্যে একটি হলো এইকাজ করতে কোন প্রকার ইনভেস্ট করতে হয় না।